নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিশ্বের বেশিভাগ দেশের চেয়ে অস্থিরতা অনেক কম। এশিয়ান ফ্রন্টিয়ার ক্যাপিটালের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল সর্বোচ্চ রিটার্ন প্রদানকারী বাজার।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলন ‘ দ্যা রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড জাপান’ এ উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে তিনি এ কথা বলেন।
আজ (২৭ এপ্রিল) সকালে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী নাকাতানি শিনিছি।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে। এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাপান-বাংলাদেশ কাউন্সিল কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি)।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাপান চেম্বার অব কমার্স (জেসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট কোবায়াশি কেন, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি এবং জেট্রোর প্রেসিডেন্ট ইশিগুরো নরিহিকো।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে উপস্থাপন করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাপানে সাহায্য বা ঋণের জন্য আসেনি, এসেছে বিনিয়োগের জন্য। তিনি বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগের বিভিন্ন সম্ভাবনার দিকগিলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির রেকর্ড রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে উন্নীত হবে। এই অর্থনীতির রয়েছে যে কোনো সংকট মোকাবেলার সক্ষমতা। এই দেশে বিনিয়োগ করলে সহজেই মুনাফাসহ বিনিয়োগ প্রত্যাবাসন করা যায়। এখানে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয় আর্থিক ও নীতিগত প্রণোদনা।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। তৈরি পোশাকসহ বেশ কিছু খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্বের চীর্ষ ১০টি পরিবেশসম্মত পোশাক কারখানার ৭টিই বাংলাদেশে অবস্থিত।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগের সম্ভাবনার দিক থেকে এখন বাংলাদেশ ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে। জাপানি বিনিয়োগকারীদের উচিত এখানে বিনিয়োগের সুযোগকে কাজে লাগানো।