বেনাপোল প্রতিনিধি : ঈদকে সামনে রেখে বেনাপোল রেল ষ্টেশনে কোলকাতা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বিদেশী মদ ও বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে ট্যাক্সফোর্স।
বৃহষ্পতিবার সকালে বেনাপোল রেল ষ্টেশনে ট্যাক্সফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। বেনাপোল কাস্টমসের পক্ষে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপ-কমিশনার তানভীর আহম্মেদ, জেলা ট্যাক্সফোর্সের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ান চন্দ্র পালের নের্তৃত্বে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দা তামান্না হোরায়ারা, শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনা (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, ৪৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মোজাহিদ, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূইয়া, রেল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে ট্যাক্সফোর্স কর্মকর্তারা জানতে পারে ঈদকে সামনে রেখে চোরাকারবারীরা কোলকাতা- খুলনাগামী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চোরাচালানী পণ্য আসছে। এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে বেনাপোল রেল স্টেশনে ট্রেনে অভিযান পরিচালনা করে ১৩ বোতল ভারতীয় মদ, ও বিপুল পরিমান কাপড় ও কসমেটেক জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। যার মুল্য ১৬ লক্ষাধিক টাকা বলে ট্যাক্সফোর্স কর্মকর্তারা জানান।
যাত্রীরা জানান, সপ্তাহে রবি ও বৃহস্পতিবার কোলকাতা-খুলনার মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনটি এখন চোরাচালানীদের দখলে চলে গেছে। এ দু‘দিন ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীই চোরাচালানী পণ্য বহন করে থাকে। বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ চোরাচালানীরা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে আন্তর্জাতিক রেল সেবাতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। উল্লেখ্য বিভিন্ন সময় কাস্টমস, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার অভিযান পরিচালনা করলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না চোরাকারবারিরা। একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় তারা এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নারায়ন চন্দ্র পাল জানান, রেল যাত্রীসেবা বাড়াতে ও চোরাচালানীদের প্রতিরোধ ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। রেলস্টেশনে বহিরাগতদের রুখতে পরবর্তীতে আরো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর রহমান জানান, বেনাপোল রেল ষ্টেশনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিদেশী মদসহ বিপুল পরিমাণ কাপড় ও কসমেটেক জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। জব্দকৃত মালামাল বেনাপোল কাস্টম গোডাউনে জমা করা হয়েছে।