সেলিম রেজা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ চোহালী বাজারের ২ কিলোমিটার দক্ষিনে ৪টি ডেজার দিয়ে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নদীর পাড়ের বসত বাড়ি এবং প্রায় তিনশ’ হেক্টর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
জানা যায়, চৌহালি উপজেলার বাজার হতে ২ কিলোমিটার দক্ষিনে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন ভোর ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর পার থেকে হাজার হাজার ঘন ফুট বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এছাড়াও বেলকুচি উপজেলার মেহেন নগর স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
কতিপয় প্রভাবশালীদের মদদে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার বালু ব্যবসায়ী একটি সিন্ডিকেট বালু ব্যবসা পরিচালনা করছে। সংঘবদ্ধ এ চক্রটির কারণে ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। জীবনের ভয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তাদের বাহামভুক্ত লোকজন বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এতে পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি এলাকাবাসীর ফসলি জমি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, যে কোনো সময় ধসে যেতে পারে আশেপাশের বসবাসকারী বাড়িঘরগুলো।
নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বালু ব্যবসায়ী একটি মহল দেশীয় ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে প্রত্যন্ত এলাকার লোক জনের কাছে বিক্রি করছে। নদী থেকে অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর ঘর-বাড়িসহ বহু ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এসব ড্রেজার মেশিন বন্ধ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
নৌ পুলিশ সুপার, বি এম হারুন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানলাম দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চৌহালি উপজেলার নৌ ওসি ফারুক হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ছিলো, এখন আবার চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চৌহালি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চৌহালিতে যদি কেউ অবৈধভাবে ভাবে সরকারি নিষেধাকাকে উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।