পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কথিত ওই সাংবাদিকের নাম রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম।
সে উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের আব্দুল মজিদ মুন্সির ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলুকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান (লাভলু) অভিযোগ করে বলেন, আমার পূর্ববর্তী চেয়ারম্যান ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের একটি তালিকা করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী কিছুদিন পূর্বে উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। সেই তালিকায় অসংগতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখায় এবং তার সাথে সরাসরি দেখা করার প্রস্তাব দেয়। এরপর ১২ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে গেলে কথা বলার কথা বলে ঘাটলায় নিয়ে যায়। সেখানে বসে বিভিন্ন কথা বলে ভয়-ভীতি দেখায় এবং আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে নিউজ করার হুমকি দিয়ে কিছু টাকা দাবি করে। তখন আমি মান-সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার ভয়ে আমার পকেটে থাকা ১৬ হাজার (১ হাজার টাকার নোট) টাকা তাকে দিয়ে আমি বাসায় চলে যাই। পরে রাতে আমার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে কল করে আরো ১৪ হাজার টাকা দাবি করে। এর কিছুক্ষণ পরে পুনরায় কল করে সাথে আরো লোক থাকার কথা বলে ১ লাখ টাকা চাদা দাবি করে।
চাঁদ দাবির অভিযোগের ব্যাপারে মুঠোফোনে কথিত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সাদ্দামকে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।