নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কিছু জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীদের জন্য ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মাটি ও মানুষের রাজনীতি করতেন। তিনি কখনও হটকারী রাজনীতি করতেন না। আওয়ামী লীগের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এ দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্মেলন সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা বলেন ভাষা আন্দোলনে আবার শেখ মুজিবের কী অবদান। অথচ বঙ্গবন্ধুই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, আমরণ অনশন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য ছাত্রদের নিয়ে প্রথম থেকেই আন্দোলন করছিলেন। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্রদের নিয়ে সচিবালয়ের সামনে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সে সময় পুলিশের হাতে আহত হন।
সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু স্কুল জীবন থেকেই কোনো অন্যায় মেনে নেননি। যখন স্কুলে পড়তেন তার সহপাঠী মালেককে হিন্দু মহাসভার সভাপতি সুরেন ব্যানার্জির বাড়িতে নিয়ে মারধর করে। এই খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু ছিনিয়ে আনেন। সুরেন ব্যানার্জির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয় এবং সাতদিন জেল খাটে। এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রথম কারাগার। পাকিস্তানে ২৩ বছরের শাসন আমলে ১৩ বছর তিনি কারাগারে ছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সৃষ্টিশীলতা ছিল অনেক বেশি। তিনি কোনো লোভ করতেন না, কখনও হঠকারী রাজনীতি করতেন না। বঙ্গবন্ধু অবস্থা বুঝে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেন। তিনি স্কুল জীবন থেকেই কোনো অন্যায় মেনে নেননি।
শেখ সেলিম আরো বলেন, ১৯৪৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধু জেলে বন্দি ছিলেন।
পরে সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক বন্দি হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, সততা, অসাম্প্রদায়িকতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গড়ে উঠেছিল। ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে আতাউর রহমান খান, আব্দুস সালামের কাছে যান, কেউই রাজ হয়নি। পরে আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের কাছে গেলে তিনি রাজি হন। তাকে সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু সেক্রেটারি হয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হয়।