অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য আরও বেশি হারে আমদানি করতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
রোববার (২ জুন) বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুকের সাথে ডিসিসিআই’র দ্বিপাক্ষিক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান সংগঠনটির সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির তৃতীয় বৃহত্তম গন্তব্যস্থল হলো যুক্তরাজ্যের বাজার। এছাড়াও সেদেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার, যেখানে আমদানির পরিমাণ ছিল ৪১৫ দশমিক ৩২ মিলিয়ন এবং রপ্তানির পরিমাণ ৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।
আশরাফ আহমেদ বলেন, ফাইন্যান্স, স্বাস্থ্যসেবা, ফিনটেক, বিপিও, বিপিএস, পর্যটন এবং শিক্ষাখাতে দুদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। টেকনিক্যাল নো-হাউ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন ও দক্ষতা উন্নয়ন, আর্কিটেকচার এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে যৌথ বিনিয়োগের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় বাংলাদেশের এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরে সরকারি পর্যায়ের উদ্যোগ গ্রহণেরও দাবি জানান আশরাফ আহমেদ।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, অর্থনৈতিক ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে যুক্তরাজ্য অত্যন্ত আগ্রহী। তবে এলডিসি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশেকে তৈরি পোষাক ছাড়াও অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, কৃষি, সি-ফুড, চামড়াজাত পণ্য এবং হালকা-প্রকৌশল বিশেষ করে বাইসাইকেল প্রভৃতি পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সংশ্লিষ্ট নীতি সহায়তা ও নীতির ধারাবাহিকতা একান্ত অপরিহার্য, সেই সাথে পণ্যের মেধাসত্ব সুরক্ষা, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যকর ব্যবহার ও ব্যবসায়িক মুনাফা প্রত্যাবর্তন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।


