আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুকে ‘বিরাট ক্ষতি’ বলে অভিহিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি রাইসিকে খুব নির্ভরযোগ্য অংশীদার এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী ব্যক্তি হিসেবেও উল্লেখ করেন।
এছাড়া রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের সাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন রুশ এই প্রেসিডেন্ট। বুধবার (২২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রয়াত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মর্মান্তিক মৃত্যুকে ‘বিরাট ক্ষতি’ বলে অভিহিত করেছেন। মঙ্গলবার রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বা স্টেট ডুমার চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠকের সময় মস্কোর কাছে রাইসিকে ‘খুব নির্ভরযোগ্য অংশীদার এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী একজন মানুষ’ বলেও বর্ণনা করেন পুতিন।
আনাদোলু বলছে, ইরানে সাবেক প্রেসিডেন্ট রাইসির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন স্টেট ডুমার চেয়ারম্যান ভলোদিন। এর আগে মঙ্গলবার তার সঙ্গে বৈঠকের সময় মর্মান্তিক এই ট্র্যাজেডির জন্য তার আন্তরিক সমবেদনা পৌঁছে দিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভলোদিনকে আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু ইরান ও ইরানি জনগণের জন্য প্রথম এবং সর্বাগ্রে বিরাট বড় ক্ষতি। তিনি একজন অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য অংশীদার, একজন স্পষ্টভাষী, আত্মবিশ্বাসী মানুষ ছিলেন যিনি তার জাতীয় স্বার্থে ছিলেন অনুপ্রাণিত। অবশ্যই, তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী একজন মানুষ ছিলেন এবং তার সাথে কাজ করাটা ছিল আনন্দের। আমি কেবল এটাই মনে রাখতাম যে, আমরা যদি কোনও বিষয়ে একমত হই তবে আমরা সর্বদা নিশ্চিত থাকতে পারি সেসব চুক্তি পূরণ হবে।’
পুতিন আরও বলেন, মস্কো তেহরানের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত কারণ দেশটি রাইসি প্রশাসনের অধীনে রয়েছে এবং রাশিয়া-ইরান সম্পর্ক যাতে এইভাবে অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করবে মস্কো। তিনি ভলোদিনকে বলেন, ‘দয়া করে, আমার এই কথাগুলো ইরানের নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিন।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে বিধ্বস্ত হয়। দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান শেষে সোমবার পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে ওই হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান পীর হুসেইন কোলিভান্দ সোমবার জানান, হেলিকপ্টারটির সকল যাত্রী এবং ক্রু দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।