সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: নর্দমায় পাওয়া গেল শাহজাদপুর উপজেলার পুটিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সরকারি ওষুধ। উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের পুটিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশের পচা নর্দমায় প্রায় লক্ষাধীক টাকার ২ বস্তা পরিমান অসংখ্য সরকারি ওষুধ পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সরকারি ওষুধ রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের মাঝে বিতরণ না করে ফার্মেসিতে বিক্রি, স্বজনদের মাঝে ওষুধ প্রদান, রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা না দেওয়া এবং যথাসময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না আসাসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির ফার্মাসিট মোঃ শামিম এক বছর দুই মাস আগে অবসরে যাওয়া অফিস সহায়ক মোঃ ইকতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানান, রবিবার বিকালে হাসপাতালের পাশের একটি পরিত্যাক্ত নর্দমায় ওষুধ ধরণের কিছু দেখতে পাই। কাছে গিয়ে দেখি সরকারি ওষুধ। পরে রাত ১০ টার দিকে থানার এস আই এরশাদ এর সহযোগীতায় ২ বস্তা সরকারি ওষুধ কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত আনোয়ার হোসেন এর জিম্মায় দেওয়া হয়।’
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, ফার্মাসিট মোঃ শামীম এখানে যোগদান করার পরে অবসর প্রাপ্ত ইকতিয়ারে সহযোগীতায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি থাকেন পার্শ্ববর্তী উপজেলা উল্লাপাড়ায় তাই মাঝে মধ্যে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসলেও রোগীদের ঠিকমত ওষুধ দেন না। ওষুধের জন্য গেলে সরকারিভাবে বরাদ্দ নেই বলে ফিরিয়ে দেন। ক্লিনিকে পর্যাপ্ত ওষুধ থাকা সত্ত্বেও বিতরণ না করার ফলে ক্লিনিকেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায় ওষুধগুলো।
এরপরও কোনো এক সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পাশের পচা নর্দমায় ওষুধগুলো ফেলে দেন ফার্মাসিট মোঃ শামীম ও সাবেক অফিস সহায়ক ইকতিয়ার। এলাকাবাসী আরও জানান, ইকতিয়ার অবসরে গেলেও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চাবি এখনো তার কাছে। এমনকি তিনি এবং তার পরিবার রাত্রিযাপনসহ পারিবারিক সকল কাজে তিনি ব্যবহার করেন। ইকতিয়ার স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারনে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এব্যাপারে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির টেম্পটারি পরিছন্নতাকর্মী রেখা বেগম বলেন, দুপুরের দিকে ফার্মাসিট মোঃ শামীম ও ইকতিয়ার মিলে এই ওষুধগুলো এই ডোবার ফেলে দেয় পরে তারা আমাকে বললে আমি এই নর্দমার ভিতরে ফেলে দেই। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক ইকতিয়ার রহমান বলেন, আমি কেন্দ্রটির পাশের চা স্টলে বসে ছিলাম কিন্তু আমি কোন ওষুধ কোথাও ফেলে দেই নি।
এদিকে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির ফার্মাসিট মোঃ শামীমের সাথে মুঠোফোনে কোন ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শারমীন আলম জানান, সরকারি ওষুধ ফেলে দেয়ার ঘটনাটি আমি জেনেছি। এব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফার্মাসিট এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’