সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিয়ের প্রলোভনে ত্রিশ বছর বয়সী এক অসহায় নারীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে লম্পট আলিফ হাসান নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। বোনের বাড়িতে বেড়ানোর নাম করে বন্ধুর ভাড়া বাড়িতে নিয়ে রাতভর জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে তাদেরকে আটক কালে ধর্ষকের পরিবারের লোকজন ও তার দুলাভাই দুজনকে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুরে সরিয়ে নিয়ে যায়।
পরে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ভুক্তভোগী নারীকে তাদের থেকে কৌশলে পৃথক করে লম্পট আলিফকে বাড়িতে নিয়ে ঘটনার দুইদিন অতিবাহিত হওয়ার পর অন্য একটি মেয়ের সাথে বিয়ে দেন তার পরিবার। এ বিষয় জানতে পেরে ভুক্তভোগী ওই নারী আলিফ নামে ছেলের বাড়িতে গেলে আলিফসহ তার ফ্যামিলীর সদস্যরা তাকে মেরে তারিয়ে দেয়। অসহায় মেয়েটি বেলকুচি থানায় বিষয়টি অবহিত করলে তারা তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই নারী সিরাজগঞ্জ জেলা আদালতে হাজির হয়ে গত ১৮ এপ্রিল আলিফ হাসানের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখন বেলকুচি থানায় তদন্তাধীন আছে।
মামলার আবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী ইমরান হোসেন নামে এক ব্যক্তীর সাথে বিয়ে হয়।
তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান হওয়ার পর দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে ভুক্তভোগী নারী এনায়েতপুর থানা খোকসাবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের একজন ডাক্তারের বাসায় কাজ করা অবস্থায় লম্পট আলিফ হাসানের সাথে পরিচয় হয়।
সেই সুবাদে মোবাইল ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে বিবাহ করার প্রতিশ্রুতিতে তার সাথে দেখা করার কথা বলে, বিভিন্ন জায়গায় দেখা করে এবং গত রমজানের ঈদে বোনের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দুপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরার পর সন্ধায় বেলকুচি পৌর এলাকার শেরনগর একটি বাড়িতে নিয়ে গেলে ভুক্তভোগী নারী জানতে পারে লম্পট আলিফ হাসান যে বাড়িতে নিয়ে এসেছে সেটা তার বোনের বাড়ি না, আসলে সেটা তার বন্ধুর ভাড়া বাসা।
ভুক্তভোগী নারী ওই বাড়িতে থাকতে অসম্মতি জানালে লম্পট আলিফ সকালে কাজী আসলে বিয়ে করবে বলে ফুসলিয়ে রাতভর ধর্ষন করে। সকালে যখন সে বুঝতে পারে তাকে বিয়ে করবে না, লম্পট আলিফ কৌশলে ফ্যামিলির লোকজনের সহায়তায় বন্ধুর ভাড়া বাড়ি থেকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটাকে রাস্তায় রেখে সবাই সটকে পরে। ভুক্তভোগী নারী বলেন আমার সাথে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যে কাজ করেছে এখন আমাকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে হবে আমি তার সাথে সংসার করবো, তা না হলে আদালতের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই। মামালার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলকুচি থানার এস আই নিয়ামুল হক বলেন তদন্তাধীন মামলাটি ,সঠিক যাচাই বাছাই শেষে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।