আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ে ট্যাংক পাঠিয়েছে। ইসরায়েল মঙ্গলবার মিসরের সাথে সংযোগকারী এই সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ইসরায়েল রাফায় স্থল অভিযান চালানোর বিষয়ে এখনও অনড়। যদিও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনীদের দ্বারা জনাকীর্ণ রাফার পূর্বাঞ্চল ভরে গেছে।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। মিসরের রাজধানী কায়রোয় আলোচনার জন্যে সকল পক্ষ উপস্থিত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের একজন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের জন্যে গাজায় জিম্মি হিসেবে আটক প্রায় ১২৮ জনকে মুক্তির এটাই শেষ সুযোগ।
কায়রোয় আলোচনার জন্যে হামাস, ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারী কাতারের প্রতিনিধি দল রয়েছে। যদিও এর আগের কয়েক সপ্তাহের আলোচনায় ইসরায়েল তার কোন প্রতিনিধি পাঠায়নি। এদিকে কায়রোয় আলোচনায় যুক্তরার্ষ্টের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক বিল বার্নস অংশ নিচ্ছেন।
নেতানিয়াহু’র কার্যালয়থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি আলোচনাকারীদের জিম্মি মুক্তি এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্যে প্রয়োজনীয় দাবি পূরণের বিষয়ে দৃঢ় থাকতে বলেছেন। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা আশাবাদী উভয়পক্ষ তাদের মধ্যকার দূরত্ব দূর করতে পারবে।
এদিকে সেনাবাহিনী বলেছে, অভিযানের কার্যক্রম শুরুর জন্যে ট্যাংকগুলো রাফার ফিলিস্তিনী অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস যে কোন অভিযান বন্ধ এবং ক্রসিং পুনরায় খুলে দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরাইলীকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মিকে আটক করে। এখনও তাদের কাছে ১২৮ জিম্মি আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।