সাব্বির মির্জা, তাড়াশ ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিনটি পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্ততি নিয়েও নিয়োগ দিতে পারেননি মাদ্রাসার সভাপতি মো. আল- আমীন কাওসার ও ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল মান্নান। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার তালম ইউনিয়নের রোকনপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায়।
জানা গেছে, উপজেলার তালম ইউনিয়নের রোকনপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষার আগেই পছন্দের প্রার্থী নিরাপত্তাকর্মী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদে তিনজন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেয় সভাপতি মো. আল- আমীন কাওসার ও ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল মান্নান। । আর ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে তাড়াহুড়ো করে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধিও মনোনয়ন দেন।
সেই মোতাবেক আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে মাদ্রাসায় পুলিশের উপস্থিতে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করেন। কিন্তু মাদ্রাসায় এ সময় নিয়োগ কমিটির ডিজির প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সাংবাদিক ও অন্যান্য প্রার্থীদের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সবাই শটকে পড়েন।
এ দিকে তালম ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাব্বিকে মাদ্রাসার নিরাপত্তাপ্রহরী পদে চাকরির জন্য মাদ্রাসার সভাপতি আলামিন কাওসার ও ভারপ্রাপ্ত সুপার কেবিএম আব্দুল মান্নান তার ৪ লাখ টাকা নেন। কিন্ত রাব্বিকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য প্রার্থীর নিকট থেকে বেশি টাকা নিয়ে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করেন তারা। আর এ ঘটনায় গত ২৩ এপ্রিল’ তারিখে সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে চাকুরী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল- মামুন অবৈধ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে আবেদন জানায়। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
কিন্তু শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় নিয়মনীতি ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করেন। রোকনপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ও তালম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিন কাওসার ও ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট কে বি এম আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ট করলে তাদের ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, আমি নিয়োগ বোর্ডে ছিলাম। নিয়োগ পরীক্ষা শেষ করে জেলায় একটা মিটিংয়ে উপস্থিত হই। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার চিঠি আমি পাইনি। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমার সাথে জেলায় একটা মিটিংয়ে ছিলেন।