সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে অটোভ্যান চালক শাকিল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। অটোরিকশা ছিনতাই করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য এবং হত্যার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমার।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ২১ শে অক্টোবর রাত্রি ৯ টার দিকে অটোভ্যান সহ বাড়ি থেকে বের হয় শাকিল। এসময় শেরপুর থানাধীন সীমাবাড়ী ইউনিয়নের চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার এলাকা হতে অজ্ঞাত নামা ৩-৪ জন তাকে টার্গেট করে তার অটো ভ্যানটি দুর্গা পুজার মুন্ডব ঘুরে দেখার কথা বলে ভাড়া করে। অটো চালক শাকিলকে নিয়ে আসামিরা মথুরাপুর বাজারে যায়। সেখান থেকে ক্লোন্ড ড্রিংকসের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে শাকিলকে খাওয়ানো হয়। পরে শাকিল অচেতন হয়ে পড়ে। এসময় হত্যাকারিরা তাকে হাত, পা ও মুখ বেধে শ্বাসরোধ করে ফুলজোর নদীতে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ঘুম করার উদ্দেশ্যে ভাসিয়ে দিয়ে অটো ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। ২৩ সালের ২৩ শে অক্টোবর ফুলজোর নদী থেকে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পরিবার। মামলার সুত্রধরে অনুসন্ধানে মাঠে নামে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলের দিক নির্দেশনায়, রায়গঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমারের তত্বাবধানে, অফিসার ইনচার্জ হারুনর অর রশিদ এর নেতৃত্বে তদন্তকারি কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সহ সংগীয় অফিসার র্ফোস নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৮শে এপ্রিল ঢাকা থেকে আসামি আশিক (১৯) কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডের সকল তথ্য বেরিয়ে আসে। গ্রেফতার কৃত আশিক বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার নাকুয়া গ্রামের বাদশার পুত্র। অন্য দিকে একই এলাকার মোমিন, ফিরোজ আহম্মেদ এ হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল, তবে ফিরোজকে আগেই গ্রেফতার করা হয়।
বাঁকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমার।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সহ স্থানীয় সংবাদকর্মী বৃন্দ।’