বিনোদন ডেস্ক : সত্তর ও আশির দশকের বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেতের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় বাংলাদেশের গন্ডি ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিনয়গুণে দর্শক মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ববিতাকে বড়পর্দায় দেখছেন না তাঁর ভক্তরা। এখন অভিনয় থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছেন তিনি। বেশিরভাগ সময় থাকেন কানাডা অথবা আমেরিকায়। সুযোগ পেলে ছুটে যান বাংলাদেশে।
কিছুদিন আগে নিজের দেশে ফিরেছেন এই জীবন্ত কিংবদন্তি। দেশে ফিরে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন তিনি। কোরবানি ঈদের পর বিদেশেই ফিরে যাবেন বলে জানান ববিতা। বাংলাদেশে এই সময়ে যে সিনেমা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে তার ধারণা খুব একটা ভালো নয়। বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা খুঁজে পান সত্যজিতের এই নায়িকা।
বাংলাদেশের বর্তমান সিনেমা প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে ববিতা বলেন, ‘এখন খুব একটা সিনেমা দেখা হয় না। মাঝেমধ্যে দুয়েকটি কাজ দেখেছি। তা দেখে মনে হয়েছে গল্প ও নির্মাণে কিছুটা উন্নতি হলেও অশ্লীলতা বেড়ে গেছে। কারণ সুড়সুড়ি টাইপের অভিনয় দেখে তো আমি অভ্যস্ত নই। তাই আর সেভাবে সিনেমা দেখা হয় না’।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই দশক ধরে কয়েকশো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ববিতা। পরপর তিনবার বাংলাদেশে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ২৩তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে গোল্ডেন বীয়ার জয়ী সত্যজিৎ রায়ের অশনি সংকেত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসিত হন তিনি।
ববিতা ৩৫০ এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন। এছাড়া ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৮৫ সালে আরেকবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ১৯৯৬ সালে শ্রেষ্ঠ প্রযোজক, ২০০২ ও ২০১১ সালে পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। এছাড়া ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমায় ববিতাকে শেষবার দেখা গেছে।
আরও পড়ুন:
এবার ঈদে হিন্দি গান শোনাবেন মাহফুজুর রহমান