নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২৬ সালের মধ্যে শতভাগ আর্থিক অর্ন্তভুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সেবা খাতে লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করা জরুরি। যা এনএফআইএস-বি’র লক্ষ্যসমূহ অর্জন এবং ভিশন ২০৪১ অর্জন সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেন।
শনিবার ( ২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘জেন্ডার রেপন্সসিভ ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৬ সালের মধ্যে সকল পূর্ণ বয়স্ক মানুষকে আর্থিক অর্ন্তভুক্তি’র মধ্যে নিয়ে আসা এবং জাতীয় অর্ন্তভুক্তি কৌশল (এনএফআইএসবি) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিআইবিএম এবং সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরডি) উক্ত কর্মশালার আয়োজন করে।
এ কর্মশালার লক্ষ্য ছিল আর্থিক অর্ন্তভুক্তির ক্ষেত্রে নারীরা কেন পিছিয়ে তা খুঁজে বের করা। যাতে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়। একই সঙ্গে সেবা প্রদানকারীরা আরও বেশি নারীদের সেবা দানের ক্ষেত্রে অধিকতর সহায়ক হবেন।
নারীদের আর্থিক সেবায় অর্ন্তভুক্তি শীর্ষক অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বিআইবিএম’র মহাপরিচালক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, আর্থিক অর্ন্তভুক্তি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যা ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানের ব্যাকগ্রাউন্ড নোট উপস্থাপন করেন বিআইবিএম’র অধ্যাপক (সিলেকশন গ্রেড) এবং বিআইবিএম-সিআরডি প্রকল্পের স্টাডি টিম লিডার ড. শাহ্ মোঃ আহসান হাবীব। জেন্ডার গ্যাপ ইন ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুসান (জিজিআইএফআই) প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সিআরডি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.মোঃ মোকলেসুর রহমান। বিআইবিএম’র অধ্যাপক (সিলেকশন গ্রেড) এবং পরিচালক (ঢাকা স্কুল অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট) মোঃ নেহাল আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকার এবং অন্যান্যরা আর্থিক অর্ন্তভুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি তুলে ধরেন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে ২০৩০ সালের এসডিজি লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।
বিআইবিএম’র অধ্যাপক (সিলেকশন গ্রেড) ড. শাহ্ মোঃ আহসান হাবীব সংলাপ সেশনের সভাপতিত্ব করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ৮০জন সিনিয়র ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ, গবেষক, বিআইবিএম’র অনুষদসদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।