September 20, 2024 - 5:35 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeআইন-আদালতঅপহরণ করে ধর্ষণের ৪ বছর পর সহযোগী গ্রেফতার

অপহরণ করে ধর্ষণের ৪ বছর পর সহযোগী গ্রেফতার

spot_img

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: বহুল আলোচিত রাজধানীর ডেমরা থানাধীন এলাকায় ফুফাতো বোনকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান সহযোগী ইলিয়াস মাতবর (৪০) কে ঢাকা মহানগরীর দারুস-সালাম থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গ্রেফতারের বিষয়টি জানিয়েছে র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হোসেন।

তিনি জানান, ২০১৯ সালে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রিয়াজ আগে গ্রেফতার হলেও চার বছর ধরে পলাতক ছিল সহযোগী ইলিয়াস। এবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, মামলার বাদী রুমা বেগম ও তার কন্যা সোনালী আক্তার আইরিন (১৬) দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর ডেমরা থানাধীন এলাকায় বসবাস করত। একই এলাকায় তার ভাইপো মোঃ রিয়াজ মাদবর ওরফে মামুন (২২) বসবাস করত। রুমা বেগম এর কন্যা ভিকটিম সোনালী আক্তার আইরিন ডেমরা থানাধীন শান্তিবাগস্থ রেনেসা একাডেমীতে ৯ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করত। সে স্কুলে যাওয়ার পথে তার মামাতো ভাই মোঃ রিয়াজ মাদবর বারবার প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং মোবাইলে কল দিয়ে ডিস্টার্ব করত। বিষয়টি ভিকটিম সোনালী তার মা রুমা বেগমকে জানালে রুমা বেগম তার ভাইপো রিয়াজ মাদবরকে ডিস্টার্ব না করার জন্য বলে। এতে করে রিয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে সে এবং ধৃত ইলিয়াস মাতবর গত ২৩/০৯/২০১৯ তারিখ সকালে ভিকটিম সোনালীকে স্কুলের রাস্তায় একা পেয়ে ফুসলিয়ে জোরপূর্বক অপহরন করে দারুস-সালাম এলাকায় নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় ভিকটিম বাড়িতে না যাওয়ায় তার মা রুমা বেগম বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে লোকমুখে জানতে পারে তার মেয়ে সোনালীকে শান্তিবাগ মসজিদের সামনে রাস্তার উপর থেকে রিয়াজ মাদবর ও আরও কয়েকজন ব্যক্তি মিলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা রুমা বাদী হয়ে ডেমরা থানায় রিয়াজ মাদবর এবং ১/২ জন ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্ত শেষে জানা যায় যে, রিয়াজ মাদবর ভিকটিম সোনালীকে অপহরণ করে এবং তার অপহরণের সকল কাজে ধৃত ইলিয়াস মাদবর সহযোগিতা করে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট ও ভিকটিমের জবানবন্দিতে জানা যায় রিয়াজ ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে। আর এ কাজে ধৃত ইলিয়াস মাতবর সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে। অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই ধৃত ইলিয়াস এলাকা পরিবর্তন করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক জীবন যাপন করে আসছিল।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ