অনলাইন ডেস্ক : সাময়িক সার্ভার ত্রুটির কারণে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেড এবং মেসেঞ্জার আবারও সচল হয়।কিন্তু এই এক ঘণ্টায় মার্ক জাকারবার্গের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এবার প্রকাশ পেলো।
ড্যান ইভস নামে নিউইয়র্কের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মেটার প্রতিষ্ঠান ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম অচল হওয়ার কারণে মার্ক জাকারবার্গ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব হারিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে মেটার শেয়ারের দামও ১.৫ শতাংশ কমে গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশে একযোগে ফেসবুক লগ-আউট এবং সেশন আউট হয়ে যায় বলে অনেকে জানিয়েছেন। এরপর রাত ১০টা ২৩ মিনিটে আবারও সচল হয় ফেসবুক।
এদিকে, ফেসবুকে সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন সামাজিক মাধ্যম এক্স পোস্টে বলেন, মানুষ আমাদের পরিষেবাগুলো ব্যবহারে সমস্যায় পড়ছে- এ বিষয়ে আমরা অবগত। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রাম ফিরে আসার পর রাত ১১টা ১৯ মিনিটে অ্যান্ডি স্টোন আরেকটি পোস্টে বলেন, আজ একটি কারিগরি ইস্যু আমাদের পরিষেবাগুলোতে ব্যবহারকারীদের প্রবেশে সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। যারা সমস্যায় পড়েছিল তাদের সবার জন্য যতো দ্রুত সম্ভব আমরা ইস্যুটি সমাধান করতে পেরেছি। যে কোনো সমস্যা হয়ে থাকলে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
ওয়েবসাইটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টরের তথ্যমতে, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সমস্যা শুরুর পর থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৫ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী ফেসবুক লগআউট হয়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যার মুখে পড়েন। ইনস্টাগ্রাম নিয়ে একই সমস্যায় পড়েন ৮৪ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী।
এদিকে সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেনিফার আলম বলেন, সারা পৃথিবীতে এই সমস্যা হচ্ছে। অ্যাকাউন্ট লগ–আউট হয়ে যাওয়া, দ্বিস্তরের যাচাই পদ্ধতি (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) কাজ করছেনা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
এই অবস্থায় ব্যবহারকারীদের কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তারা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কিছু কাজ করতে নিষেধ করেছেন।
তারা বলছেন, এখন ফেসবুক পেইজে ফরগেট পাসওয়ার্ডে ক্লিক না করা। ফেসবুক অ্যাপ আনইন্সটল করা যাবে না। এছাড়া বারবার টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের কোড না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি অ্যাপের ডেটা ক্লিয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।