নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি)। তিন দিনব্যাপী এ পর্ব রোববার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার ২০২৩ সালের কার্যক্রমও শেষ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বাদ ফজর থেকে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় দিল্লির মাওলানা সা’দ অনুসারীরা অংশগ্রহণ করবেন। তারা জেলাওয়ারী নির্দিষ্ট খিত্তা অনুসারে অবস্থান নিচ্ছেন। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ময়দানের পশ্চিমাংশে টিনের ছাউনিযুক্ত বিশেষ কামরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান দ্বিতীয় পর্বের সাদ অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বিদের কাছে ইজতেমার ময়দান বুঝিয়ে দেন। এর আগে ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম পর্বের আয়োজক হাফেজ জুবায়ের অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নানসহ অন্য মুরব্বিরা জেলা প্রশাসনের কাছে ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেন।
মাওলানা সাদ অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বি ড. মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৪ হাজার বিদেশি মেহমান বাংলাদেশের বিভিন্ন মসজিদে তাবলীগে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়া সারাদেশ থেকে ইজতেমায় যোগ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও বিশ্ব ইজতেমায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
ইজতেমা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং সংক্রান্তসহ নির্দেশনায় ডিএমপির প্রগতি সরণি থেকে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহনকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন করা হবে। ২২ জানুয়ারি উত্তরার বাসিন্দা, উড়োজাহাজের যাত্রী ও উড়োজাহাজের ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালককে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া, বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একটি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, দুটি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে এবং একটি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহণ সার্ভিসের জন্য ভোররাত চারটা থেকে মোতায়েন থাকবে।