গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরে পুলিশের নির্যাতনে এক ব্যবসায়ী মৃত্যুর অভিযোগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার দুই এএসআইকে ক্লোজ করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- বাসন থানার এএসআই মাহবুব ও এএসআই নুরুল ইসলাম।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (অপরাধ) আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এই ঘটনাটি তদন্তের জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ভোগরা পেয়ারা বাগান এলাকা থেকে সুতা ব্যবসায়ী রবিউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ শনিবার রবিউলকে গ্রেফতার করা হলেও মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে থানা থেকে ছাড়েনি পুলিশ। এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে বাসন থানার পুলিশ নিহত রবিউলের স্ত্রী নুপুর বেগমকে জানায় তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। পরে, রাত ৩টার দিকে নিহতের স্ত্রী জানতে পারেন তার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এই ঘটনা গাজীপুর পেয়ারা বাগান এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার হাজার হাজার বিক্ষোব্ধ মানুষ ঢাকা ময়মনসিংহ ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে এসে অবরোধ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তারা ভোগড়া বাইপাস মোড়ে পুলিশের চারটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর তছনছ ও অগ্নি সংযোগ করে। খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠনাস্থলে এসে ধাওয়া দিয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত পুলিশের বিচার দাবি করেন।
এদিকে, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান বলেন, অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে রবিউলকে আটক করা হয়েছিল রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতে সে বাড়ি ফেরার পথে ভোগরা বাইপাস সড়কে দুর্ঘটনায় আহত হন । পড়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রবিউল মারা যান। রবিউল পুলিশের নির্যাতনে মারা যায়নি। পুলিশ তাকে নির্যাতন করেনি।