মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার শহরের বাসটার্মিনাল এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে দুই ভাই খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব লারপাড়ার আবদু খলিলের ছেলে জয়নাল আবেদীন (২৮) ও কামাল উদ্দিন (২৫)।
তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনেরা। তাদের কাছ থেকে খুনে ব্যবহৃত একটি চাকু এবং লোহার রড উদ্ধার করে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করে। ঘটনাস্থল বাসটার্মিনাল এলাকার পূর্ব লারপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়েও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে গোয়েন্দা ও সোর্স লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ভোরেই খুরুশকুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেখানোমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বেলা তিনটার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার রাতে কক্সবাজার শহরের বাসটার্মিনাল এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলায় কথা-কাটাকাটি জেরে ছুরিকাঘাতে খুন হন লারপাড়া এলাকার মনু ড্রাইভারের ছেলে মোহাম্মদ কায়সার (৩৫) নুরুল হুদার ছেলে মোহাম্মদ সায়দুল (৩৩)। কায়সার গ্রীণ লাইন কাউন্টারের নিরাপত্তারক্ষী ও সায়দুল পেশায় কাঠমিস্ত্রী। তারা সম্পর্কে চাচাত-জেঠাত ভাই।
সেসময় নিহতের বন্ধুরা জানিয়েছিলেন – লারপাড়ায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে এলাকার সিনিয়র-জুনিয়র সবাই খেলেন। এরই অংশ হিসেবে রাতে এলাকার জুনিয়ররা ব্যাডমিন্টন খেলছিলো। এর মধ্যে নিহত কায়সার ও সায়দুল গিয়ে জুনিয়রদের খেলা বন্ধ করতে বলেন। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পাড়ার জুনিয়র ছোট ভাই আতিককে চড়-থাপ্পর মারে কায়সার ও সায়দুল। এরপর আতিক চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আতিক, তার ভাই কামাল ও জয়নাল এসে কায়সার ও সায়দুলদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর জখম হয়ে মারা যায় তারা।