নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া (৭৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী চিকিৎসক ডা. আনোয়ারা হক, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন এবং রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্খি রেখে গেছেন।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার জানান, আজ বাদ আছর ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চাঁদপুর জেলা সদর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় নিজ গ্রামে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। জানাযার সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ ও চাঁদপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন শামছুল হক ভূঁইয়া। নির্বাচনের পর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার কাউনিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মো. হাসমত উল্ল্যাহ ও মায়ের নাম হাজেরা বেগম। তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। লেখাপড়া শেষে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন। এছাড়াও তিনি স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কর্মজীবন শেষ করে তিনি ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে চাঁদপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ। এটি ফরিদগঞ্জের একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। এ ছাড়া তিনি কাওনিয়া শহীদ হাবিব উল্যা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।