নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন রমজানে ন্যায্যমূল্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাছ, মাংস ডিম ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সোয়া ১২টায় মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সব পণ্যই উৎপাদন এবং মজুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও দাম বেশি কেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাংস ডিম এবং মাছের মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, রমজানকে সামনে রেখে, সরকার ভর্তুকি দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রমজানের কয়েকদিন আগে থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে। বস্তি এলাকা এবং কিছুটা দরিদ্রপ্রবণ এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে।
তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়াচ্ছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কোথায় কীভাবে কারসাজি হয় সেটি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আজ আমরা মাছে ও গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় যে এক কোটি পশু কোরবানি হয়, সেটার জন্য বাইরে থেকে আমদানি নির্ভরতা একেবারেই নেই। এতে দুটো জিনিস হয়েছে। এসব গরু-ছাগল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যাটা হতো। যেহেতু বাইরে থেকে গবাদিপশু আনা বন্ধ হয়েছে, সেহেতু সীমান্ত হত্যাটাও কমে গেছে, নেই বললেই চলে।
গরু ছাগলে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় সীমান্ত পথে তা দেশে প্রবেশ কমার ফলে সীমান্তে হত্যা কমেছে বলেও জানান তিনি।