নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে নামতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় পাঁচগুণ বেড়েছে। রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন আমাদের ২৫ বা ২৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। এ বছর আমাদের চিন্তা হলো ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামতে না দেওয়া। এটি সম্ভব, আমরা আগে যা বলেছি তা ঠিক আছে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতি চালাতে গেলে অর্থনীতির জন্য মূল্যস্ফীতির প্রয়োজন আছে। যারা অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করে না, তারা বলতে পারে মূল্যস্ফীতির প্রয়োজন নেই। মূল্যস্ফীতি ছাড়া অর্থনীতি চলতে পারে না। কয়েক দিন আমরা ৮ থেকে ১০ বছরের মতো মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রেখেছি। এর চেয়ে ভালো নম্বর আর হতে পারে না।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে আপনার এমন কোনো ইচ্ছা ছিল কি না, যা আপনি পূরণ করতে পারেননি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেভাবে অর্থনীতি শুরু করি, সেভাবে থাকতে পারিনি। কারণ একটার পর একটা যুদ্ধ লেগেই রয়েছে। ফলে অর্থনীতির কোনো কিছু ধারণা করা যায় না। তারপরও আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামীতে অর্থনীতিই হলো মূল চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী যে চিন্তা করেন, আমরাও একই চিন্তা করি। আমাদের আলাপ আলোচনা হয়। অর্থনীতি দুর্বল হলে সরকার কীভাবে টিকে থাকবে, আর দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে? আমি এখনো বলি, আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
সিপিডি সম্প্রতি বলেছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। তা উদ্ধারের জন্য কোনো পরিকল্পনা করেছেন কি না, বা নতুন সরকার কী পরিকল্পনা করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, মাত্র নির্বাচন হলো, এমপিরা শপথ এখনও নেননি, নতুন সরকার গঠন হয়নি। তাই নতুন সরকার গঠনের আগে এসব বিষয়ে বলা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির যে এলাকা রয়েছে, তা আপন মহিমায় উপরে উঠেছে। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের অর্থনীতি, ৪১ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা অর্জন করতে পারব। আমরা বিশ্বাস করি ৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০টি উন্নত দেশের একটি হবে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ যা বলে, তা তাদের শিখিয়ে দেওয়া হয় না। গবেষণার মাধ্যমে তারা করে। পৃথিবীর যেসব দেশ ঋণ নিচ্ছে, তাদের মধ্যে আমাদের জিডিপি ৩৪ শতাংশ। যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন।