নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বক্তব্য সঠিক নয়। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হলেও, রাজনীতি চর্চার নামে সহিংসতা চালিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ তথ্য জানান মার্কিন সাবেক কংগ্রেসম্যান জিম বেটসের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষক দল।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন সাবেক কংগ্রেস ম্যান জিম বেটস তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। উনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের মতামত হলো এখানে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোথাও কোনো রকম গোলযোগ হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দেশ, এ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনে কোথায় ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে বলে কি কোনো তথ্য আপনাদের কাছে আছে? আমাদের কাছে কি আছে? যেটা ঘটেনি সেটা যদি কেউ বলে।
তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনবিরোধী প্রোপাগান্ডায় সাত মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। তবে কারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের বলেছে জেলে রাখা হয়েছে। কাকে জেলে রাখা হয়েছে? প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর করা হলো, পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলো, অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, পুলিশকে হত্যা করা হলো। কেউ যদি এ জাতীয় কাজ করে বা কাজ করানোর পেছনে কোনো ভূমিকা পালন করে, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে না? সেখানে আপনি পরিচয় জেনেই বা কি করবেন। তিনি কোন পদে আছেন, কোন দলের, কি কাজ করেন- এটার ওপর নির্ভর করবেন নাকি অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করবেন।