নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ জাতির সামনে নির্বাচনী যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে বলে জানিয়েছেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলটির প্রেসিডিয়াম কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক । তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতির সামনে যে ইশতেহার ঘোষণা করেছিল তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে দলটি। এ সাফল্য দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীর কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অঙ্গীকারের দলিল হিসেবে আমরা নির্বাচনের ইশতেহার প্রণয়ন করেছি।
আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনা। বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতির সামনে যে ইশতেহার ঘোষণা করেছিল তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে দলটি। এ সাফল্য দেশবাসী এবং বিশ্ববাসীর কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অঙ্গীকারের দলিল হিসেবে আমরা নির্বাচনের ইশতেহার প্রণয়ন করেছি। আওয়ামী লীগ জাতির সামনে নির্বাচনী যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইশতেহার প্রণয়নে আমরা সুশীল সমাজ, পেশাজীবী, তরুণসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মতামত গ্রহণ করেছি। তাদের সুপারিশ গ্রহণ করে তা ইশতেহারে গুরুত্ব দিয়েছি। গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের সব ক্ষেত্রে অবহিত পূর্ব অগ্রগতির মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ স্থাপনে সেটিকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে কীভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায় সে লক্ষ্যে এই ইশতেহার।
এবারের ইশতেহারের শিরোনাম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবারের বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ সমাজের দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবারের মূল লক্ষ্য। ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে অগাধিকার দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে দ্রব্যমূল্য কমানো ও সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পের প্রসারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, সাম্প্রদায়িকতা ও সব ধরনের সন্ত্রাস রোধ করা এবং সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।