আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের পেশওয়ার শহরে একটি থানায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধের সময় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তাও রয়েছেন। এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে কট্টরপন্থী ইসলামীগোষ্ঠী তেহেরি-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে ভারি অস্ত্রে সজ্জিত টিটিপি গোষ্ঠীর একটি দল এ হামলা চালায়। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন ও জিও নিউজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খুরাসানি দাবি করেন, আমাদের মুজাহিদিনরা লেজার বন্দুক দিয়ে পেশোয়ারের দুটি পুলিশ চৌকিতে হামলা চালিয়েছেন। এতে তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশের কাছ থেকে দুটি কালাশনিকভ, দুটি ম্যাগাজিন ও ৪৭ হাজার রুপিও ছিনিয়ে আনা হয়েছে।
পেশোয়ার পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কাশিফ আব্বাসি জানান, শনিবার রাতে টিটিপির পাঁচ-সাতজন সদস্য উপশহর এলাকায় অবস্থিত সরবন্দ থানায় হ্যান্ড গ্রেনেডসহ আধুনিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) বাদাবের সরদার হুসাইন, দুই প্রহরী ইরশাদ ও জেহানজেব নিহত হন।
খাইবার পাখতুনখোয়ার পুলিশ প্রধান মোয়াজ্জাম জাহ আনসারি বলেন, জীবন দিয়ে হলেও পুলিশ সদস্যরা থানায় হওয়া সন্ত্রাসী হামলা সফলভাবে প্রতিহত করেছেন। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তারা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছেন।
তিনি আরও জানান, পেশোয়ারের ডিএসপি সরদার হুসাইন থানায় প্রবেশের সময় গুলিবিদ্ধ হন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মেহমুদ খান এ সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুলিশের এমন আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। হামলাকারীদের খুঁজে বের করে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সূত্র: ডন, জিও নিউজ