নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে জনগণের উন্নয়ন হয়। আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকায় ভোট দিলে পুরো দেশ আরও উন্নত হবে। যারা অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িত, মানুষ হত্যা করে তাদের ক্ষমা নেই। মানুষ মেরে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বন্ধ করতে চায় বিএনপি।
আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভোটের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের দলকেও। যে সবাই দাঁড়াবে, সবাই কাজ করবে। জনগণ যাকে বেছে নিবে, সেটাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে দেশে অরাজকতা শুরু করেছে। তারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। নারী-শিশু, পুলিশ, সাংবাদিক সবার ওপর হামলা করছে। আমি মনে করি মানুষ তাদেরকে কখনো মেনে নিবে না।
তিনি বলেন, মানুষ এতো শান্তিতে ছিল। আজ এতো কষ্টের পরেও, কোভিড-১৯ এর অতিমারী-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন সব কিছুর পরও আমরা অর্থনীতির চাকা ধরে রাখছি, ভর্তুকি দিয়ে দিয়ে তাদের খাবার দিচ্ছি। আমরা সব রকম ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। রাস্তা-ঘাট সব কিছুই তো উন্নতি করেছি। কিন্তু কোথায়, কোন জায়গাটা আমরা বাদ রেখেছি যে আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নাম দিয়ে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে।
এর আগে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরু করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৬০১ এর একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর তিনি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সিলেটজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুনে সেজেছে সিলেট নগরী। নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। জনসভায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটাতে কাজ করেছেন নেতা-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। নগরীজুড়ে জোরদার করা হয়েছে পুলিশের টহল। সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। জনসভা মঞ্চ ও আশপাশের এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা।
আজ বিকেলে নগরের সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। সেখানে জড়ো হবেন সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনের নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সভাপতির দিক-নির্দেশনা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।