কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেছেন বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাম্মী আহমেদ, বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহ এবং ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক। আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এই রিট করেন তারা।
এর আগে, গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানিতে নানান অভিযোগে তাদের মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে ইসি।
এরমধ্যে রোববার (৩ ডিসেম্বর) বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এ দুই প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করেন। পরে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
এদিকে, ৬ ডিসেম্বর বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের পক্ষে তার মনোনয়নপত্রের সমর্থনকারী কেবিএস আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য পেশ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ইসি তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
অন্যদিকে, ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে। নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে আজাদ। পরে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের শামীম হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদ একে অপরের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছিলেন। এতে শামীম হকের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের (নেদারল্যান্ডস) অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে এ কে আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
যাচাই-বাছাইয়ে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করা হলেও ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদের প্রার্থিতা বহাল রেখেছে ইসি।