অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে।’
জানা যায়, মহারাষ্ট্রে অসময়ের বৃষ্টিপাতে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় ভারতে পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ক্রিসিল এমআইঅ্যান্ডএ রিসার্চের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে পেঁয়াজের দাম নভেম্বরে ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে বেড়েছে খাবারে দামও।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে দেশটির সরকার।
তবে এর আগে দাম স্থিতিশীল রেখে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রতি টনে ৮০০ ডলার আরোপ করা হয়েছিল।
এদিকে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও শর্তসাপেক্ষে পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে বলে জানিয়েছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। বলা হয়, কোনো দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট দেশের আবেদনের ভিত্তিতে অনুমোদন মিললে তবেই হবে রপ্তানি।
দেশের বাজারে আরও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। গেলো সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দেড়শ’ থেকে একশ’ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ।
আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি। এছাড়া, দেশি আদার কেজি আড়াইশ’ ও রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দাম কার্যকর হয়েছে বাজারেও।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে স্বস্তির হাসি ক্রেতার চোখেমুখে। তবে, কিছুটা ক্ষোভ জানিয়েছেন বিক্রেতারা। শুধু মাংসের বাজার নয়, স্বস্তি ফিরেছে মাছেও। বড় রুই বিক্রি হচ্ছে তিনশ’ থেকে তিনশ’ পঞ্চাশ টাকায়; শোল-টাকিসহ অন্যান্য দেশি মাছের দামও কিছুটা কম।
অপরদিকে, ২ কেজি আটার প্যাকেটে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১শ’ ২৫ টাকায়। তবে চাল ডাল চিনি মশলাসহ মুদি পণ্যের দাম এ সপ্তাহে স্থিতিশীল। বৃষ্টিতে সরবারাহ কম থাকায় উধ্বমূখি শীতের সবজি দাম। ডিমের হালি ৪০ টাকা আর চালের বাজারে পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা ও নাজির শাইল ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়।