অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের আরও দরপতন ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দৈনিক ভিত্তিতে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন কারেন্সির দাম গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতি যুক্তরাষ্টে এবং ইউরো অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশিত হবে। এর আগে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ডলারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
আলোচ্য কার্যদিবসের শুরুতে প্রধান ৬ বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক দাঁড়িয়েছিল ১০৩.০৭ পয়েন্টে। গত ৩১ আগস্টের পর যা সবচেয়ে কম। অবশ্য পরে তা স্থিতিশীল হয়েছে। বর্তমানে গ্রিনব্যাক সূচক ১০৩.১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবমিলিয়ে চলতি নভেম্বরে ডলারের মান কমেছে ৩ শতাংশ। মাসিক হিসাবে গত ১ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। মোনেক্স ইউরোপের ফোরেক্স বিশ্লেষণের প্রধান সিমোন হার্ভে বলেন, এদিন সকালে ডলারের দর কমেছে। প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রাটি তেজ হারাতে শুরু করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে ইউরোর বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মূল মুদ্রাটির দাম স্থির হয়েছে ১.০৯৫৪ ডলারে। স্টার্লিংয়ের মানও স্থবির আছে। ব্রিটিশ মুদ্রাটির মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১.২৬২৮ ডলারে। বিগত ৩ মাসের মধ্যে উভয় মুদ্রার দামই সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
জাপানি মুদ্রা আরও শক্তিশালী হয়েছে। প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৪৮.৪৫ ইয়েনে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রাও অধিক শক্তি ফিরে পেয়েছে। ডলারপ্রতি দর স্থির হয়েছে ০.৮৮১০ সুইস ফ্রাংকে।
ধারণা করা হচ্ছে, কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ থেকে সরে আসছে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। শিগগিরই সুদের হার কমাতে পারে তারা। ফলে চাপে পড়েছে ডলার। এখন মূল্যস্ফীতির দিকে নজর রাখছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ, এটাই ফেডের সুদহার নির্ধারণ করে দেবে।