কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ২০২৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররুক আহমেদের গ্রামের বাড়ি পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার প্রখ্যাত কবি ফররুখ আহমদের পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শনকালে শফিকুল আলম আসন্ন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তার মতে, রাজনৈতিক বৈচিত্র্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বাভাবিক দিক। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকা খুবই স্বাভাবিক। যদি না থাকত, তাহলে আলাদা দল থাকত না।
এসময় তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন যে, নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলেও আশ্বস্ত করেন শফিকুল আলম। পাশপাশি নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দেন।
প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।
আসন্ন নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রেস সচিব এটিকে ‘ভিত্তিপ্রস্তর নির্বাচন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তার মতে, এটি দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন শুধু সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে না, বরং পরবর্তী নির্বাচন এবং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘দল থাকলে মতপার্থক্য থাকবেই। নাহলে ভিন্নদল কেন হয়? আপনি যদি আমার মতোই হবেন তাহলে তো আপনি আমার দলই করবেন। সেজন্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে ভিন্নমত থাকবেই। কিন্তু আমরা আবারও বলছি, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। এটা আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের একটি কমিটমেন্ট। কেউ যদি মনে করেন যে এটা বানচালের চেষ্টা করবেন তাহলে সেটা সম্ভব নয়।’


