বিনোদন ডেস্ক : শুটিংয়ে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না ভারতের হরিয়ানার মডেল শীতল সিমি চৌধুরীর। পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করার পর পুলিশি তদন্তে হরিয়ানার সোনিপাতের একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয় তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা গলা কেটে শীতলকে খুন করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শীতল শনিবার (১৪ জুন) বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের পরেও বাড়ি না ফিরলে পরিবারের পরিবারের পক্ষ থেকৈ নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর রবিবার উদ্ধার হয় শীতলের মরদেহ। উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পানিপথের খালিলা মাজরা গ্রামের বাসিন্দা শীতল মডেলিংয়ের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওর কাজও করতেন। মডেলিং শুরু করার আগে শীতল কর্ণালের একটি হোটেলে কাজ করতেন। পরিচিত ছিলেন সিমি চৌধুরী নামেও।
টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে জানা যায়, এই ঘটনায় শীতলের কথিত প্রেমিক সুনীলকে আটক করেছে পুলিশ। সিমির পরিবার দাবি করছে, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও সুনীল বারবার তাকে হুমকি দিতেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শীতলের হাতে ও বুকে উল্কিচিত্র ছিল। এসব চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করেন। শীতলকে সোনিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বোন নেহা পুলিশকে বলেন, শনিবার (১৪ জুন) রাতে ভিডিও কলে শীতল জানিয়েছিলেন যে, তিনি আহার গ্রামে একটি অ্যালবাম শুটিংয়ে গিয়েছেন। সেই সময়ই তিনি বলেন, প্রেমিক সুনীল সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে মারধর করছেন এবং জোর করে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছেন। কথার মাঝখানে কল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকেই শীতলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নেহার ভাষ্য অনুযায়ী, শীতলের সঙ্গে সুনীলের পরিচয় হয় ছয় মাস আগে, তখন শীতল একটি হোটেলে কাজ করতেন। পরে জানা যায়, সুনীল বিবাহিত ও তার দুই সন্তান রয়েছে। এরপর শীতল হোটেল ছাড়েন এবং মডেলিংয়ে মন দেন। কিন্তু সুনীল তার পিছু ছাড়েননি। রোববার (১৫ জুন) সকালে পানিপথ জেলার একটি খাল থেকে সুনীলের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সোমবার পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
সোনিপাতের সহকারী পুলিশ কমিশনার অজিত সিং জানান, শীতলের পরিবার শনিবারই নিখোঁজ ডায়েরি করেন, যা পানিপথের উরলানা কালান পুলিশ পোস্টে নথিভুক্ত হয়। তদন্তের ধারাবাহিকতায় সোমবার খারখোদা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের বর্ণনার সঙ্গে মিল পাওয়ায় সেটি শীতলের দেহ বলে শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। শীতলের পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের বক্তব্য, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ার পর থেকেই শীতল হুমকির মুখে ছিলেন।
আরও পড়ুন: