সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় কলেজপড়ুয়া এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা না করে গোপনে সালিশে তিন লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন নেতারা।
অভিযুক্ত পবিত্র শীল (২১), কামারখন্দ উপজেলার পার পাইকোশা মুচিবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী মুসলিম তরুণী জানান, মোবাইলে ইসলাম ধর্মের পরিচয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে পবিত্র। ১ জুন কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কৌশলে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর অভিযুক্তের পরিবার ভুক্তভোগীকে ঢাকায় নিয়ে আটকে রাখে এবং বিষয়টি গোপন রাখতে চাপ দেয়। নয় দিন পর ফিরে আসলে স্থানীয় ঝাঐল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল, যুবদল নেতা রুহুল আমিন ও ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় পবিত্র পালিয়ে যায়। সালিশের নামে অভিযুক্ত পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করলেও বিচার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তরুণীর পরিবার।
ভুক্তভোগীর মা সোনেকা বেগম বলেন, “বিচারের নামে তিন লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। আমাদের শুধু ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বললেও এখন সেটাও দিচ্ছে না। উল্টো সমাজে আমাদেরই দোষারোপ করা হচ্ছে।”
অভিযুক্তের মা দুলালী রানী জানান, “বিএনপি নেতারা তিন লাখ টাকা চেয়েছিল। ধারদেনা করে এক লাখ টাকা দিয়েছি, তবুও বিপদ কাটছে না।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এর আগেও ওই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবারই সালিশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে ধামাচাপা দেন বিএনপি নেতারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল বলেন, “মেয়ের পরিবার এসেছিল, মেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি। টাকার বিষয়ে কিছু জানি না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, “এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


