বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বাঙালি নদীতে অর্ধগলিত একটি মরদেহ ভেসে গেলেও দীর্ঘ প্রায় ১০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়ে যাওয়ার পরও স্থানীয় প্রশাসন বা উদ্ধারকারী দল কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে এ বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বুধবার (৪ জুন) দুপুর ১টা থেকে ৪টার মধ্যে খানপুর , খামারকান্দি, সুঘাট, সীমাবাড়ি ইউনিয়নের বাঙালি নদীর বিভিন্ন অংশ দিয়ে মরদেহটি ভেসে যেতে দেখা যায়। নদীপাড়ের একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মরদেহটি প্রথম দেখা যায় খানপুর ইউনিয়ন শেষে সিমাবাড়ি ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে ভেসে যায়।
স্থানীয়রা জানান, মরদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল, যা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়নি। এলাকাবাসী নিজেরা মরদেহটি নদী থেকে তুলতে গেলে নিরাপত্তার কারণে পিছিয়ে যান।
নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিষয়টি প্রচার পায়। তবে বিকেল পর্যন্ত কোনো কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে যায়নি বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার এক কর্মকর্তার এসএম মঈনুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা খবর পেয়ে মরদের একটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু অতিরিক্ত স্রোতের কারণে দ্রুত নদীপথে জেলার সীমানা ভেসে গেছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এ ধরনের ঘটনা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত এবং মরদেহ উদ্ধার ও শনাক্তকরণে প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।


