শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ৭ জন ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৪জন হজযাত্রী আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস হাসিনা এয়ার ট্রাভেলস নামক একটি প্রতিষ্ঠানে সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি হজযাত্রীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা করে গ্রহণ করলেও হজের নিবন্ধন, ভিসা ও টিকিটের কোনো ব্যবস্থা না করায় হজের যেতে না পেরে হজ্ব যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় এক ভুক্তোভোগি শেরপুর উপজেলার দোয়ালসারা এলাকার শহিদুল ইসলাম গত ২৩ মে শুক্রবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে জেলা প্রসাশক বরাবরে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার ৭ জন ও নন্দীগ্রাম উপজলোর ৪জন এক সঙ্গে ২০২৫ সালের হজ¦ গমনের জন্য সময় মতো তারা আরমান-আবির হজের সার্ভিস হাসিনা এয়ার ট্রাভেলস নামক একটি প্রতিষ্ঠানে সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। এরপর তারা প্রত্যেকে ৫ লক্ষ টাকা কোম্পানিকে দেন। কিন্তু ভুক্তোভোগীরা নির্ধারিত সময়ে হজের ভিসা, টিকিট বা নিবন্ধন কিছু না পেয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এতে কোম্পানিটি বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। কিছুদিন পূর্বে ওই কোম্পানির একটি গ্রুপের হজ্জ ফ্লাইট হলে তাদের সঙ্গে ভুক্তোভোগীরা আবার যোগাযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা না করায় তারা হজে¦ যেতে পারেনি। এতে করে এলাকার মধ্যে ব্যপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী বিশালপুর ইউনিয়নের দুবলাই গ্রামের হেলাল উদ্দীন, হাফেজ মজনু মিয়া, মাহবুবুল আলম, এবং নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হোসেয়ারপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম ও রুহুল আমিন বলেন, প্রতারিত হজযাত্রীরা আরোও জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠান বারবার ফ্লাইটের তারিখ পরিবর্তন ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা হজে যেতে পারেননি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো কাগজপত্র দেয়নি, শুধু আশ্বাস দিয়েছে। এখন তারা ফোনও ধরছে না।
এ বিষয়ে আরমান-আবির হজ্জ সার্ভিস হাসিনা এয়ার ট্রাভেলসের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মোবাইলে জানান, তারা ১১জন এক জায়গা থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রান্সফার করে আনার কথা ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রান্সফার করতে না পারায় এবার হজে¦ আনতে পারিনি। এজন্য তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রসাশক হোসনা আফরোজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


