বাদল হোসন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: খাদ্য বান্ধব চাল বিতরণের কার্ড পরিবর্তনের নামে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচ বুনিয়া ইউনিয়নের এক ডিলারের বিরুদ্ধে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। কার্ড প্রতি ওই ডিলার প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করেছেন বলে স্বীকার করেন।
জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে মরিচ বুনিয়া ইউনিয়নের ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ডের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার হিসেবে মনোনীত হয় মোসাঃ আসমা আক্তার। ডিলার হিসাবে তার নাম থাকলেও খাদ্য অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ সহ চাল বিতরণ ও অন্যান্য সকল কাজ করে থাকে তার স্বামী মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ডে মোট কার্ডধারীর সংখ্যা ৩৮৫ জন। পুরাতন কার্ড পরিবর্তন করে নতুন কার্ড বিতরণের জন্য অফিস খরচ, যাতায়াত ও কম্পিউটার খরচ বাবদ প্রত্যেকের নিকট থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করেছেন। এতে তিনি আনুমানিক ৭৭০০০ এর বেশি টাকা আদায় করেন। ওই ওয়ার্ডের হতদরিদ্র ও দুস্থ পুরাতন কার্ডধারী ছাড়াও নতুনভাবে কার্ড তৈরি করে দেয়ার নামে আরো কিছু লোকের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, কিভাবে কার্ড পাল্টায় তা আমরা আমি জানিনা। রাজ্জাক হুজুর বলেছে আপনারা যদি ২০০ টাকা করে দেন কার্ড পাল্টিয়ে দেওয়ার সব দায়িত্ব আমার। নতুন কার্ড ছাড়া কেউ চাল পাবেন না। যারা টাকা দেবে কোরবানির পর সবাই নতুন কার্ড পাবেন।
দায় স্বীকার করে ডিলার মোসাঃ আসমা আক্তারের স্বামী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুরাতন কার্ড পরিবর্তন করে নতুন কার্ড দেওয়া হবে তাই অফিসের খরচ আছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এত দূর থেকে যাতায়াতের খরচ আছে, একদিন দিয়ে আসতে হবে অন্য একদিন নিয়ে আসতে হবে। ফুড অফিসের থানা অফিসার জাকির সাব টাকা উঠাতে বলছে, এখন যদি অফিস টাকা না নেয় তাহলে যাদের টাকা তাদের ফেরত দিয়ে দেব।
মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান টিটু বলেন, ইউনিয়নের ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে আমি অভিযোগ পেয়েছি আব্দুর রাজ্জাক ও ডিলার আসমা আক্তার এলাকায় দুস্থ ও গরিবদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। আমি সদর ইউএনও মহোদয় এবং উপজেলা খাদ্য অফিসারকে অবগত করেছি।
পটুয়াখালী সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর পুরাতন কার্ড পরিবর্তন একদম ফ্রি। খাদ্য অফিসের নাম করে কোন ডিলার যদি টাকা আদায় করে এবং তা প্রমানিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


