পুঁজিবাজার ডেস্ক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ২৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ১৬৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৮৪টির বাজারদর।
দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে দরপতন হয়েছে। এর প্রভাবে সূচকে নিম্নমুখিতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ১৭ পয়েন্ট কমলেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর প্রথম ৪৫ মিনিট ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে থাকায় পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক। দিন শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭১৯ পয়েন্টে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৪ হাজার ৭৩৬ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস ৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪ দশামক ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৪২ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৭৪৭ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস সামান্য বেড়ে ১ হাজার ৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ২ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়েছে প্রকৌশল খাত। ১০ দশমিক ৩ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত ১০ দশমিক ১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল। আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।


