কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক :আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে শনিবার (১০ মে) রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে রাজধানীর অন্যান্য পয়েন্ট যেমন মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা, সায়েন্সল্যাবসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে ব্লকেড না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার মধ্যরাতে (৯ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে হাসনাত লিখেছেন, শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারাদেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না, ব্লকেড খুলে দিন।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে যেসব স্থানগুলোতে গণজমায়েত হয়েছিলো, সেখানে গণজমায়েতের কর্মসূচি পালন করবে। গতকাল রাত দশটা থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি।
হাসনাত আরও জানান, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে তিন দফা দাবি জানিয়েছি। প্রথম দফা হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে, আওয়ামী লীগের যত সংগঠন সবগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয় দফা— আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। তৃতীয়— জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
এদিকে, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সব শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। সিদ্ধান্ত দ্রুত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত। বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি সেই সমাবেশ স্থগিত করে শাহবাগ অবরোধের ডাক দেন। এরপর হাজারো মানুষ মিছিলসহ শাহবাগে এসে জড়ো হন এবং বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মূল সড়কে বসে পড়েন। স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।


