নিজস্ব প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর পালপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র মঞ্জুরুল আলমের একমাত্র উপার্জনক্ষম পুত্র সালাউদ্দিনের (২৪) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
নিহত’র পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার যে ৩টি স্থানের কথা কথা অভিযুক্তরা বলেছে সে স্থানগুলোতে তার কোন প্রমান না মেলা এবং ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন মৃত্যু রহস্যকে আরো ঘনিভূত করেছে। তবে ডেকে নেয়া অভিযুক্তদের ভাষ্য মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সে মারা গেছে।
গতকাল রোবরার সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যার পর চর চামটা গ্রামের মহিলউদ্দিনের পুত্র অনিক (২২),কদম আলীর পুত্র আরিফ (২১) ও পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জ উপজেলার ইটাভারা গ্রামের সামসুলের পুত্র সুজন (২২) বিয়ের বাজার করার কথা বলে আনন্দ বাজারের জাবেদের দোকান থেকে সালাউদ্দিনকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ১১টার দিকে অনিক ও আরিফ নিহতের পিতা মঞ্জুরুলকে মোবাইল ফোনে জানায় সালাউদ্দিন সড়ক দুর্ঘটনায় অহত হয়ে সাভারস্থ এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। পরদিন সকালে মঞ্জুরুল হাসপাতালে গিয়ে দেখে তার পুত্র আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। বেলা ২ টা ৪০ মিনিটে মারা গেছে বলে অভিযুক্তরা নিহত’র পিতার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আইসিইউ থেকে তাকে বের করে নিয়ে আসে। এরপর রাত ৮ টার দিকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্থানীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
ঘটনার ৩ দিন পর অনিকের বাড়ি থেকে নিহতের ফ্লাস দেয়া মোবাইল ফোন ও ব্লেড দিয়ে কাটা জামাকাপড় উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবী, সালাউদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দুর্ঘটনার কথা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তদের বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.বিল্লাল হোসেন বলেন, অভিযুক্তরা ৩টি স্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কথা কথা বলে। এলাকাবাসী ওই স্থানগুলোতে গিয়ে দুর্ঘটনার কোন প্রমান পায়নি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের করার দাবী জানান তিনি।
সিংগাইর থানার শান্তিপুর তদন্তকেন্দ্রর আইসি পুলিশ পরিদর্শক বাসুদেব সিনহা বলেন, পোস্ট মর্টেম ছাড়া লাশ দাফন করা ঠিক হয়নি। প্রয়োজনে লাশ তুলে পোস্ট মর্টেমের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


