ময়মনসিংহ ব্যুরো: ময়মনসিংহের ভালুকায় দফায় দফায় ধর্ষণে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি লাল মিয়াকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃত লাল মিয়া কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় র্যাব-১৪ সহায়তায় ভালুকা মডেল থানা পুলিশ টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে আসামি লাল মিয়াকে গ্রেফতার করে এবং স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য থানা পুলিশ সোমবার (২৪ মার্চ) তাকে আদালতে পাঠায়।
মামলা ও থানা সূত্রে জানা যায়, বাকপ্রতিবন্ধী ওই নারীর বাবা তার পরিবার নিয়ে ভালুকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। একই বাসার পাশের একটি কক্ষে বসবাস করতেন লাল মিয়া। তিনি ওই নারীর দূরসম্পর্কীয় খালু। আত্মীয়তা এবং পাশাপাশি অবস্থানের সুবাদে তার বাসায় ওই নারীর যাওয়া-আসা ছিল।
একপর্যায়ে ওই নারীর খাওয়া-দাওয়া কমে যায় এবং শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। পরে তার মায়ের সন্দেহ হলে তিনি মেয়ের সঙ্গে ইশারায় কথা বলেন। তখন ওই নারী তার মাকে ইশারায় জানান, তার খালু লাল মিয়া তার সঙ্গে তিন মাস ধরে শারীরিক মেলামেশা করছেন। পরে ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীর বাবা বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং লাল মিয়াকে আটক করে রাখেন।
এদিকে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে লাল মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম আক্তার (২৫), রফিকুল ইসলাম (৫৫), মজনু মিয়া (৩০) ও মমতা বেগম (২৫) কৌশলে লাল মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। পরে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী ওই নারীর বাবা বাদি হয়ে গত ১৪ মার্চ রাতে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় মো. লাল মিয়া (২৭), তার স্ত্রী মরিয়ম আক্তারসহ (২৫) ৫ জনকে জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরপরই থানা পুলিশ মামলার প্রধান আসামি লাল মিয়া ছাড়া মামলার অন্যান্যদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিনুল হক বলেন, র্যাব-১৪-এর সহায়তায় আসামি লাল মিয়াকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বাক-প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্যে আজ সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ওই মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।