সাইফুল ইসলাম তানভীর: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের সুদক্ষিরা -চন্দনপুর গ্রামে লেভেল ফ্যাক্টরি ব্লাজন ট্টিমস এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের নির্মাণ কাজ পাওয়া ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিপক্ষ গ্রুপকে আওয়ামী সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী শহিদুল ইসলাম গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে বাস্তা-মানিকনগর সড়কের সুদক্ষিরা বঙ্গবন্ধু মোড়ে জামির্ত্তা ইউনিয়ন সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আধা ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।এতে অংশ নেন প্রায় দেড় শতাধিক লোক। হাজী শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মেহেদী হাসানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তারা-আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী সুদক্ষিরা গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে ফারুক ও ডালিম গংদের শাস্তির দাবী করেন। সেই সঙ্গে পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানানো হয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাব্বির হোসেন, ফারুক আহমেদ, আমিন হোসেন ও রতন মিয়া প্রমুখ।
এদিকে অভিযুক্ত মো: ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার মরহুম বাবা আহাম্মদ আলী সাবেক প্রয়াত মন্ত্রী সামসুল ইসলাম খানের নির্বাচনের এজেন্ট ছিলেন। আমিও ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত দাদার রাজনীতি করি। আওয়ামীলীগ করার প্রশ্নই আসে না।
তিনি আরো বলেন, আমি বৈধভাবে ব্লাজন ফ্যাক্টরী হতে ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করলে শহিদুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয়। এতে আমার বড় ভাই আব্দুল খালেক মারধরের শিকার হয়। তিনিও থানায় মামলা করেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ জেওএম তৌফিক আজম বলেন, ব্লাজন ফ্যাক্টরীর সীমানা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষ মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে ব্লাজন ট্রিমস্ এন্ড প্যাকেজিং ফ্যাক্টরির সামনে নির্মাণ কাজ নিয়ে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাজী শহিদুল ইসলাম ও মোঃ ফারুক হোসেন গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৬ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে শহিদুলের ছোট ভাই হারুন (৫৬) ও ফারুকের বড় ভাই আব্দুল খালেককে (৪৫) গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।