কর্পোরেট সংকাদ ডেস্ক : মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে এই জবানবন্দী দেন।
বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর জানান, মামলার প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। আদালতে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জবানবন্দীতে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। জবানবন্দী প্রদানকালে হিটু শেখ জানান, নির্জন ঘরে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম বলেন, আজ বিকালে মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে আদালতে হাজির করা হয়। সিনিয়র জুডশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সন্ধ্যায় শিশু ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় হিটু শেখ ও তার দুই ছেলে সজিব, রাতুল ও তার স্ত্রী জবেদা বেগমের নামে মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনার অন্য তিন আসামিও রিমান্ডে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরার শহরতলী নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ওই ঘটনার পর প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে সেখানে শিশুটির মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনায় শিশুটির মা ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে এ মামলায় আসামি করা হয় হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা, নির্যাতনের শিকার শিশুটির বোন জামাই সজিব এবং সজিবের বড় ভাই রাতুলকে। পুলিশ ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত চার আসামিকেই গ্রেফতার করেছে।