সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলামকে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট গোলাম রব্বানি তা নামঞ্জুর করে জেলগেটে ৩ দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করেন।
শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিএসআই মো: আশরাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর)। আসনের সাবেক এমপি ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চয়ন ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহজাদপুর থানা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।’ আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে জেলগেটে ৩দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোতি প্রদান করেন।
গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানা পুলিশ তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি মাটির মসজিদ এলাকার একটি বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর), আসনের সাবেক এমপি ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা খানমকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ডা. এমএ মুহিতের শাহজাদপুরের দুটি বাড়ি ভাংচুর ও বিষ্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
শাহজাদপুর থানা পুলিশ গত ১১ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার দিকে তাদের শাহজাদপুর আমলী আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক এমপি চয়ন ইসলামের ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ওই দিন রিমান্ড শুনানি না করে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এ রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলগেটে ৩দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোতি প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনকালে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ডা. এমএ মুহিতের শাহজাদপুরের দুটি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় সাবেক এমপি চয়ন ইসলামের বিরুদ্ধে ভাংচুর ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এদিন রিমান্ড শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের চরনবীপুর গ্রামের অধিবাসি প্রফেসর ড. মাজহারুল ইসলামের ছেলে।’