মো: মাহিদুল ইসলাম।। বিনিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জেনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ও আনুপাতিক হার (পিই রেশিও)। একটি কোম্পানির (পিই রেশিও) যত কম বিনিয়োগের জন্য কোম্পানিটি তত উত্তম। সাধারনত ৪০ পর্যন্ত পিই রেশিও স্বাভাবিক ধরা হয় এর উপরে গেলে অবশ্যই সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। পিই রেশিও থেকে আর ও বেশি গুরুত্বর্পূণ হচ্ছে নিট সম্পদ মূল্য (এনভি), এটা যত বেশী বিনিয়োগের জন্য ততই উত্তম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের সমাপ্ত বছরের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে (৮.৩১) টাকা যা ২০২৩ সালে ছিল (৮.১৭) টাকা, ২০২২ সালে ছিল .৮২ টাকা, ২০২১ সালে ছিল .৩৪ টাকা ও ২০২০ সালে ছিল (১.১৯) টাকা।
কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২৪ সালে ৪৫.৪৩ টাকা যা ২০২৩ সালে ছিল ৫৪.৮৫ টাকা, ২০২২ সালে ছিল ৬৩.৩৯ টাকা, ২০২১ সালে ছিল ৬৩.১৭ টাকা ও ২০২০ সালে ছিল ৬৩.৮৯ টাকা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২৪ সালে নগদ ৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে নগদ ৫ শতাংশ, ২০২২ সালে নগদ ১০ শতাংশ, ২০২১ সালে নগদ ১০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ৫০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৯৮৫ সালে তালিকাভূক্ত হয়েছে। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার ১ কোটি ৫২ লাখ এবং রিসার্ভ অ্যান্ড সারপ্লাসে ছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ি ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ইং তারিখে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৩৫.১৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৩৩.৩৫ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৩১.৫০ শতাংশ শেয়ার।
তথ্য অনুসারে, গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার দর উঠানামা হয়েছে ৬৩ টাকা থেকে ১০৮.৬০ টাকার মধ্যে। গতকাল সমাপনি দর ছিল ৬৫.৫০ টাকা। ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।