পুঁজিবাজার ডেস্ক: বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে কমোডিটি ডেরিভেটিবস চালুকরণের সম্ভাবণা ও আইনি কাঠামো ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিএসইসি’র মাল্টিপারপাস হলে বিএসইসি’র কমিশনার ফারজানা লালারুখের সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ এবং অর্থ বিভাগ,আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়,বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ,শিল্প মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি, চট্রগাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি, বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস, বিআইসিএম ইত্যাদিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম কর্মশালায় ‘বাংলাদেশে কমোডিটি ডেরিভেটিবস চালুকরণের সম্ভাবণা ও আইনি কাঠামো’ শিরোনামে মূল বক্তব্য উথাপন করেন। এছাড়া ও কর্মশালায় বিএসইসি’র পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসান এর সঞ্চালনায় ‘কমোডিটি ডেরিভেটিবস চালুকরণের সম্ভাবণা এবং এ সংক্রান্ত ঝুকি’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্যানেল আলোচনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে বিএসইসির পরিচালক মো: আবুল কালাম সিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি’র জেনারেল ম্যানেজার ও সিওও মো: ছামিউল ইসলাম, চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার অংশ নেন।
কর্মশালায় ডেরিভেটিবস ও ডেরিভেটিবস মার্কেট, কমোডিটি এক্সচেঞ্জের প্রোডাক্ট ও তার লেনদেন সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ,বাংলাদেশ কমোডিটি মার্কেটের সুযোগ- সম্ভাবনা, এক্সচেঞ্জ কমোডিটি ডেরিভেটিভের ট্রেনিং মেকানিজম, কমোডিটি ডেরিভেটিভসমূহের ট্রেডিং ও ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট প্রক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও বাংলাদেশে কমোডিটি ডেরিভেটিভস মার্কেট চালু করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ ও তাদের সমাধান সমূহ, বাংলাদেশ কমোডিটি ডেরিভেটিভের বাজারের অংশীজন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বিধিমালাসমূহ সংশ্লিষ্ট আরো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কর্মশালার অংশীজন তথা – অর্থ বিভাগ,আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়,বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ,শিল্প মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর প্রতিনিধিবৃন্দ আলোচিত বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মূল্যবান মতামত দেন।
বিএসইসি’র কমিশনার ফারজানা লালারুখ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি কর্মশালায় আগত সকলকে ধন্যবাদ দেন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের অনেক সম্ভাবনা রযেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি অন্যান্যদের মধ্যে বলেন, বাংলাদেশ কমোডিটি ডেরিভেটিভস এর সফলতার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি অনেক বেশী জরুরী। বাংলাদেশ কমোডিটিস ডেরিভেটিভসের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সাধনে সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করেন তিনি।