কর্পোরেট ডেস্ক: ফেনীতে বন্যাকবলিত মানুষের পুনর্বাসনে শিক্ষা, কৃষি ও পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর রবি আজিয়াটা পিএলসি। সম্প্রতি গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ফেনীর পরশুরামে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দুর্যোগ-পরবর্তী সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে এসব টেকসই উদ্যোগ নিয়েছে কোম্পানিটি ।
চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বৃহত্তর ফেনী ও নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যায় অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। জীবিকা হারিয়েছেন কৃষকসহ অনেক পেশার মানুষ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক সহযোগিতা প্রদানে কাজ করেছে রবির সাসটেইনেবিলিটি টিম। সম্প্রতি বন্যাপরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে রবি।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফেনীর পরশুরামের চারটি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ১ হাজার ৫শ’ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক প্যাকেজে রয়েছে খাতা, কলম, জ্যামিতি বক্স ও স্কুল ব্যাগ। শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্যমে পড়াশোনায় উৎসাহ যোগাবে এই স্টেশনারি প্যাকেজটি।
পাশাপাশি ১শ’টি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারকে সবজির বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। এই উদ্যোগ কৃষকদের পুনরায় চাষাবাদে সহায়তা করবে এবং স্থানীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সহায়ক হবে।
বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ঔষধি ও ফলজ গাছ রোপণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই উদ্যোগ পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সবুজায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, রবি তার কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করেছে।
রবির পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি পরিচালক শরীফ শাহ জামাল রাজ বলেন, “টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধু ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ নয়; মানুষের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন আনার বিষয়ে আমরা সচেতন। রবি আজিয়াটা পিএলসি এবং গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফেনীর সীমান্তবর্তী পরশুরাম উপজেলায় বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমে একসাথে কাজ করছে। এ উদ্যোগ তাদের জীবন পুনর্গঠনে এবং ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। রবি একটি সবুজ ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”