কর্পোরেট ডেস্ক: বিজয়ের মাসে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি তাদের জয়ী প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ‘হার ভিক্টরি, হার ওয়েলনেস: উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল নারীদের সুস্থতা ও ক্ষমতায়ন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস; বাংলাদেশ ব্যাংক-এর এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রামসের যুগ্ম পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস তানিয়া; ব্র্যাক হেলথ এন্টারপ্রাইজ-এর প্রধান ডা. তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জয়ী গ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা হয় – সময়মতো ঋণ পরিশোধকারী নারী গ্রাহকরা ১% প্রণোদনা পাবেন। উদ্যোগটি ঋণ পরিশোধে দায়িত্বশীল আচরণকে উৎসাহিত করতে এবং নারী উদ্যোক্তাদের সমর্থন প্রদানের উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইপিডিসি ফাইন্যান্স এবং ব্র্যাক হেলথকেয়ারের যৌথ উদ্যোগে জয়ী প্রিভিলেজ কার্ড উন্মোচন করা হয়। এই কার্ডের মাধ্যমে জয়ী গ্রাহক ও তাদের পরিবার বিশেষ ছাড় ও সুবিধা পাবেন। এটি আর্থিক পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যসেবার সমন্বয়ে সামগ্রিক প্রভাব আনবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ব্র্যাক হেলথকেয়ারের ডা. সাইমা তাহরিন আহমেদ অনুষ্ঠানে একটি তথ্যবহুল পর্ব পরিচালনা করেন। স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে নারীদের আরও সচেতন করতে ও সময় মতো সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ ও এইচপিভি ভ্যাকসিনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আইপিডিসি ফাইন্যান্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “আমরা নারী ক্ষমতায়নে সর্বদা স্বচেষ্ট। আমরা এমন একটি সমাজ গঠন করতে চাই যেখানে সবাই উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাবে। ‘জয়ী’র লক্ষ্য নারীদের আর্থিক ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা, যাতে করে তারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারে।”
বাংলাদেশ ব্যাংক-এর এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রামসের যুগ্ম পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস তানিয়া বলেন, “নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি আমাদের ধারাবাহিক সমর্থনের অংশ হিসেবে আমরা ১% প্রণোদনা প্যাকেজটি চালু করছি। এটি জয়ী গ্রাহকদের আর্থিক লক্ষ্য অর্জন এবং তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উন্নতি করতে তাদের উত্সাহিত করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
ব্র্যাক হেলথ এন্টারপ্রাইজ-এর প্রধান ডা. তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, “সুস্থতা হলো ক্ষমতায়নের মূল ভিত্তি। আইপিডিসি’র সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা লাভেও সাহায্য করে, যা তাদের ও তাদের পরিবারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনেও ভূমিকা রাখবে।”
অনুষ্ঠানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল দিনব্যাপী বিশেষ হেলথ ক্যাম্প। এতে অংশগ্রহণকারীরা বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ পান। হেলথ ক্যাম্পটি সবার থেকে ব্যাপক সাড়া পায়, যা প্রমাণ করে সুস্থ সমাজ গঠনে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সবার হাতে নাগালে আসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।