মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই বছর পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার রাত ৯ টার দিকে (১৭ নভেম্বর) ভারত থেকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সুধর্মআয়াত নির্যাত প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন (এক লাখ ৫ হাজার কেজি) নন বাসমতি চাল আমদানি করেছেন। একই আমদানিকারকের আরও ১০০ টন চাল ওপারে রয়েছে যা আজ (সোমবার) বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারে।
বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে হোসেন অ্যান্ড সন্স নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান জানান, আমদানি করা চালের দাম ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। আমদানি প্রতিকেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। এরপর পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ রয়েছে। সেই হিসেবে প্রতিকেজি ৫৫ টাকা পড়ে যাবে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে রোববার থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় আমদানি বাড়বে এবং দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে তারা আশা করছেন।
২৪ জন আমদানিকারকের মধ্যে যশোর এলাকার ১২ জন আমদানিকারক ৭৩ হাজার সিদ্ধ ও ১৯ হাজার আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কিনা সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল আমদানি করে বাজারজাত করতে হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, তাদের কাছ থেকে শুধু মাত্র একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান (মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট) প্রথম চালানে ১০৫ মেট্রিক টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠানের আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের কথা রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান রাতে আমদানিকৃত চাল প্রবেশ করেছে। আগামীতে আরও চাল প্রবেশ করবে।