কর্পোরেট ডেস্ক: মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ২টি দৈনিক পত্রিকা এবং কিছু অন লাইন নিউজ পোর্টালে “ডিএসই’র সিআরওকে ধরতে পুলিশ নিয়ে হাজির বিনিয়োগকারীরা” এ ধরনের হেড লাইন সম্বলিত বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷ যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচরে এসেছে৷ প্রতিবেদনগুলোতে যে হেড লাইন প্রকাশিত হয়েছে তা মোটেই সত্য নয়৷ প্রকৃত ঘটনা হলো ১১ নভেম্বর সোমবার কিছু সংখ্যক ব্যক্তি নিজেদেরকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ডিএসইতে প্রবেশ করেন। এই সময় ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাদের সাথে সাক্ষাত করেন এবং তাদের কথা বিস্তারিত শুনেন।
তাদের কথা থেকে জানা যায়, কোন প্ররোচনায় বিনিয়োগ করে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের কথাগুলো শোনার পর, ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাদেরকে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে প্রদান করার অনুরোধ করেন। সেই সাথে তাদেরকে আশ্বস্থ করেন তাদের যৌক্তিক কোন অভিযোগ বা বক্তব্য থাকলে তা অবশ্যই ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের সাথে আলোচনা করে পুঁজিবাজারের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে পুলিশ নিয়ে কিছু মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয়। ডিএসই টাওয়ারে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তার স্বার্থে খিলক্ষেত থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে উপস্থিত হয়। এখানে আটক করা বা ধরে নিয়ে যাওয়ার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ভিওিহীন৷ এই ধরনের প্রতিবেদনের ফলে সংবেদনশীল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে৷ এতে ডিএসই’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি পুরো বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে৷ তাই পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য পত্রিকাগুলোর প্রতি অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
ডিএসই’র বর্তমান চলমান তদন্ত ও যৌক্তিক অভিযোগসমুহ পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে পুঁজিবাজারের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে। সম্মানিত বিনিয়োগকারীদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে কারও প্ররোচনায় প্রভাবিত না হয়ে অথবা গুজবে কান না দিয়ে জেনে বুঝে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ করুন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ডিএসই সবসময়ই তত্পর৷ এই বাজারটি সকলেরই। বাজারের উন্নতির জন্য সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।