স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সাকিব আল হাসানকে পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। ঐ সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে কোন বাঁধা নেই সাকিবের।
আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৬ নভেম্বর থেকে সিরিজটি শুরু হবে। পরের দুই ম্যাচ হবে যথাক্রমে- ৯ এবং ১১ নভেম্বর।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের ফারুক বলেন, ‘যেহেতু আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য এখনও দল ঘোষণা করা হয়নি, তাই ধরে নেয়া যায় সাকিবকে পাওয়া যাবে।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে বড় ফরম্যাটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় নীরব থাকায় সাকিবের উপর জনগনের ক্ষোভে তাকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো।
ফারুক জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলতে তাকে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়ায় কোনোভাবেই বোর্ড জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলাম, যাতে দেশের মাটিতেই অবসর নিতে পারে সাকিব। কিন্তু বাস্তবতা হল সে শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড় নন, সে গত সরকারের আমলে একজন সাংসদ ছিলেন। তাই স্পষ্টভাবে সেখানে কিছু অনুভূতি আছে।’
সাকিব ঘরের দর্শকদের সামনে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলুক, এমনটাই সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে চেয়েছিলেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি, ঘরের দর্শকদের সামনে সে অবসর নিতে পারলে ভালো হতো। একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসসেবে আমি তার জন্য অনুভব করেছি। সে ১৭ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে এবং দেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু বিষয়গুলো সহজ নয়। আমাদের বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। বোর্ডের এখানে কিছুই করার ছিল না। তাকে দেশে ফেরার পরিকল্পনা থেকে সড়ে আসতে হয়েছিলো। আমি আগেই বলেছি এটি সম্পূর্ণ আইনি বিষয় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিষয়। এটি ছিল সাকিব এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর নির্ভরশীল। বোর্ডের এ বিষয়ে কিছু করার ছিল না।’
বিসিবি প্রধান জানান সাকিব এলে বোর্ড তাদের ক্ষমতাবলে যা সম্ভব ছিলো তাই করতো।
তিনি বলেন, ‘বোর্ডের কথামতো যদি সে আসে তাহলে আমরা ক্ষমতা অনুযায়ী নিরাপত্তা দিতে পারতাম। যেহেতু সে আসেনি তাই এ নিয়ে কথা বলার কোন মানে হয়না।’