মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: বদলাতে চলেছে এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেনাপোল চেকপোস্টের বিপরীতে পেট্রাপোল (হরিদাসপুর) । চালু হতে চলেছে ‘আন্তর্জাতিক মৈত্রী দুয়ার’ এবং আধুনিক যাত্রী টার্মিনাল।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক লাভ হবে বলেই মনে করছে সীমান্ত বাণিজ্য মহল।
পেট্রাপোলের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চালু হচ্ছে নতুন যাত্রী প্রতীক্ষালয়। সঙ্গে নতুন একটি প্রবেশদ্বার নির্মাণ করা হয়েছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে মৈত্রী গেট। নতুন দুই প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আসছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগমন ঘিরে বনগাঁর সীমান্ত এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
পেট্রাপোল সীমান্ত রাজ্যের বৃহত্তম স্থলবন্দর হিসেবে স্বীকৃত। পেট্রাপোলকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় প্রবেশপথও বলা হয়ে থাকে। প্রতিদিন কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক দুদেশের মধ্যে এ স্থলবন্দরের ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। সঙ্গে রয়েছে যাত্রী পারাপারও। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ স্থলবন্দরে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক মানের নতুন একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় (বিশ্রামাগার)।
দুদেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য আগে একটি প্রবেশদ্বার ছিল। তৈরি করা হয়েছে আরও নতুন একটি প্রবেশদ্বার। নতুন দুই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র বলেন, নতুন যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি অত্যাধুনিক পরিষেবাযুক্ত করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত যাত্রীরা রোদ-বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতেন। এখন থেকে সেই অসুবিধা আর থাকবে না। শীতাতপ নিয়ন্ত্রি¿ত যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে তারা স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে অপেক্ষা করতে পারবেন। সঙ্গে যে নতুন প্রবেশদ্বার করা হয়েছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে মৈত্রী গেট। নতুন এই প্রবেশদ্বার চালু করার পর পণ্য পরিবহণের কাজ আরও সহজতর হবে।
পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং ও ফরওয়ার্ডিংয়ের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, আধুনিক মানের এই পোর্টের সংযোগকারী জায়গা যা বাংলাদেশের দিকে অবস্থিত, তা এখনও সংস্কার করা হয়নি। সংস্কার হলে যাতায়াত থেকে বাণিজ্য সব কিছুরই সুবিধা হবে মৈত্রী দ্বার এবং আধুনিক যাত্রী টার্মিনাল চালু হলে।
পেট্রাপোল এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন , সীমান্তের নতুন ‘মৈত্রী ‘ দ্বার দুদেশের সীমান্ত বাণিজ্যে গতি আনবে। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিতে পণ্য পরিবহনের নিরাপত্তার সুবিধা রয়েছে এই নতুন মৈত্রী গেটে। ফলে অতিরিক্ত সুরক্ষার সঙ্গে বাণিজ্যিক পণ্য সঠিকভাবে দ্রুততার সঙ্গে দুদেশের মধ্যে পৌঁছে যাবে বলে ধারনা। এই পথে আরও সহজ হবে সীমান্ত বাণিজ্য।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পত্র দিয়ে আমাদের জানিয়েছেন। এতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক লাভ হবে বলেই মনে করছে সীমান্ত বাণিজ্য মহল।